
হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহের মাথায় সিলেটের বিশ্বনাথের যুবক সায়মনের খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম এনাম উদ্দিন (২৩)। তিনি পৌরসভার জানাইয়া উত্তর মশুলা গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে।
শনিবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগর থানার দয়ামীর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই এলাকায় চাচা শ্বশুরের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গ্রেফতারের পর তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নতুনবাজারের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের পেছনের ময়লার ভাগাড় থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিজেদের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করার পর প্রধান অভিযুক্ত এনাম আত্মগোপনে চলে যায়। এর আগে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও তিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ রাতে সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ সড়ক এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন ইরমান আহমদ সায়মন (২৪)। তিনি পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মশুলা গ্রামের মছলন্দর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ময়নুল ইসলাম সুমন এটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’উল্লেখ করে একই গ্রামের গ্রমের মনোহর আলীর ছেলে এনাম উদ্দিন (২৩), মোস্তাব আলীর ছেলে তাহিদ আলী (২৪), আব্দুল মছব্বিরের ছেলে আফজাল হোসেন লায়েক (১৯), মৃত তাহির উল্লাহর ছেলে ফয়েজ আহমদ (২৪) ও তোরাব আলীর ছেলে তারেক আহমদকে (২১) আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত লায়েক, ফয়েজ ও তারেককে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যায় খুনি এনাম উদ্দিন।